ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে চকরিয়াবাসির খেদমত ও উন্নয়নের সুযোগ দিন -সাঈদী

চকরিয়া হযরত শাহ ওমর (রা:) মাজারে জনতার ভালোবাসায় সিক্ত তৃনমুলের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী।

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগনের মনোনীত নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ক্রীড়া সংগঠক শ্রমিকনেতা আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী তথা আনারস মার্কার সমর্থনে চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভার প্রতিটি জনপদে ব্যাপক গণজোয়ার তৈরী হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে কলাগাছ প্রেমি সর্বস্তরের জনসাধারণ এখন আনারস প্রতীককে ভোট দিয়ে তৃনমুলের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীকে বিজয়ী করতে মুখিয়ে আছেন। শান্তিপ্রিয় চকরিয়াবাসি এবারের নির্বাচনে সর্বশ্রেণীর মানুষের আপনজন হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীকে গ্রহন করেছেন। ইতোমধ্যে উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ কলাগাছের সমর্থনে তাকে ভালোবাসার সেই প্রতিদান তাকে দিয়েছেন। জনগনের ভালোবাসা, সমর্থন ও দোয়া নিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন নির্বাচনী গনংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সোমবার রাতে তিনি চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নে ব্যাপক গনসংযোগ করেন। এরপর তিনি অলীকুল শিরোমনি হযরত শাহ ওমর (রা:) মাজারে অনুষ্ঠিত ওরশে শরীক হন। ওইসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী ওরশ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে উপস্থিত হাজার হাজার জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। এসময় হাজারো জনতার করতালিতে অন্যরকম ভালবাসায় সিক্ত হন চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদী। ভালোবাসার জবাবে উপস্থিত জনগন আগামী ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করার ঘোষনা দেন। এর আগে ওরশে অংশনেয়া বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক এমপি আলহাজ সাফিয়া খাতুনকে বরণ করেন তিনি।

শাহ ওমর (রা:) মাজারে জনগনের উদ্দেশ্যে তৃনমুলের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, সংগ্রামী চকরিয়াবাসি আগামী ১৮ মার্চ সকল ধরণের ভয়ভীতিকে পদদলিত করে আমাকে আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের খেদমত ও এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করার সুযোগ দিন। আমি সংগ্রামী চকরিয়াবাসি আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও দোয়া নিয়ে জনগনের কল্যানে কাজ করতে ও দুষ্টের দমন করতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। আমার ব্যক্তিগত কোন চাওয়া পাওয়া নেই। নির্বাচনের মাঠে আমার প্রতি আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা এবং সমর্থন-সহযোগিতা দেখে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও তাঁর অনুসারীরা জনবিচ্ছিন্ন চক্র পাগল হয়ে গেছে। তাঁরা জনগনের ভোট ডাকাতির জন্য পরিকল্পনা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, আগামী ১৮ মার্চ চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনে কোন ধরণের ভোট ডাকাতি কিংবা কারচুপির সুযোগ নেই। কেউ এ ধরণের মনোবাসনা নিয়ে বসতে থাকলে তাঁর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আল্লাহ সহায় থাকলে আমার শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকা অবস্থায় চকরিয়ায় কেউ জনগনের ভোট কারচুপি করতে পারবেনা। সংগ্রাম চকরিয়াবাসি আপনারা প্রস্তুত থাকুন, জনবিচ্ছিন্ন চক্রের এই পরিকল্পনা কঠোর হাতে প্রতিরোধ করতে হবে। আপনারা সকল ধরণের ভয়ভীতিকে পদদলিত করে আগামী ১৮ মার্চ সারাদিন ভোট কেন্দ্রে থাকুন, ভোট কেন্দ্র পাহঁরা দেবেন। ইনশাল্লাহ আপনাদের ভোটে বিজয়ী হলে আপনারা দলমত নির্বিশেষে চকরিয়া উপজেলার আপামর জনসাধারণ হবেন শাসক, আমি হবো শুধুই আপনাদের সেবক। আমি আপনাদের ভালোবাসা, দোয়া ও আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পরিমল বড়–য়া, মিফতাব উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভা দুইনম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নাজেম উদ্দিন ভুট্টো, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল আমীন টিপু, ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম নুরুস শফি, চকরিয়া পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল বসরী, চকক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেফায়েত কবির বাপ্পী, সাবেক ছাত্রনেতা আশেকুর রহমান মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য তারেকুল ইসলাম রাহিত, পৌর যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন।#

পাঠকের মতামত: